নারায়ণগঞ্জে শিশু হত্যায় দুই আসামির ফাঁসির আদেশ

নারায়ণগঞ্জে খুন হওয়া ঝালকাঠির নলছিটির শিশু আশিকুর রহমান রিফাতের (১১) দুই হত্যাকারীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (বিশেষ ট্রাইবুনাল ২) বিচারক মোহাম্মদ রবিউল আউয়াল ওই রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মহিউদ্দিন হাসানাত ও সাইফুল ইসলাম।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পলাতক রয়েছেন মহিউদ্দিন হাসনাত।

আদালতের অতিরিক্ত পিপি ফজলুল রহমান ফাঁসির আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে এ রায় দিয়েছেন।

নিহতের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে এরা হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও ফাঁসির এ রায়ে আমি ও আমার পরিবার সন্তুষ্ট। রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তিনি।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নবী হোসেন বলেন, এই মামলায় রায় যথার্থ হয়েছে। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি করছি আমরা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ আগস্ট আপন বোনের স্বামী ও তার ভাড়াটে দুই খুনি গলাকেটে হত্যা করে শিশু রিফাতকে।

নিহতের পরিবার জানায়, নলছিটির ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন তার একমাত্র ছেলে আসিকুর রহমান রিফাতকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর-২ নম্বরের মনিপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করতেন। তাদের সঙ্গে মেয়ে ও মেয়ের জামাতাও থাকতেন। তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয় জামাতা মহিউদ্দিন হাসানাতের। এতে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত হয় জামাতা হাসানাত।

এরই জের ধরে ২০১২ সালের ১০ আগস্ট বাসার পাশের গলিতে বিকাল ৩টার দিকে খেলার সময় রিফাতকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে ওঠায় হাসানাত। দুলাভাই হাসানাত এবং ৩০ হাজার টাকায় ভাড়া করা দুই খুনি সাইফুল ইসলাম ও মিঠু শিশু রিফাতকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার নাভানা ভূঁইয়া সিটিতে নিয়ে যায়। নির্জন ওই স্থানে রাতে রিফাতের হাত-পা বেঁধে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তারা। রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ রিফাতের লাশ উদ্ধার করে।